সাভার উপজেলাটি রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে হওয়া সত্ত্বেও এখানকার শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণের জন্য দীর্ঘ যানজট পেরিয়ে ঢাকা যেতে হয় । সাভার থেকে ঢাকায় নিয়মিত যাতায়াতের ফলে এখানকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রচুর সময় ও অর্থ অপচয় হয়। ফলে এক পর্যায়ে পড়ালেখার প্রতি এখানকার শিক্ষার্থীদের প্রচন্ড অনীহা ও হতাশা জন্মায় এবং বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এইচ.এ্স.সি পাশের পর দূর্বল রেজাল্টের জন্য বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ব্যর্থ হয়, এমনকি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার ন্যূনতম যোগ্যতাটুকুও হারিয়ে ফেলে । আর এইচ.এস.সি পাশের পর উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ না করেই বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে চলে যায় । যার ফলাফল হিসেবে সাভারে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা ক্রমেই কমতে শুরু করেছে । কিন্তু শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড । যে এলাকায় শিক্ষার হার যত কম, সেই এলাকার মানুষ তত বেশি অন্ধকারে নিমজ্জিত । সুশিক্ষার অভাবে এখানকার অধিবাসীগণ বিভিন্ন অপরাধকর্মে জড়িত ।অপরাধীদের মধ্যে তরুণরাই বেশি । সাভারের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুশিক্ষার আলো ছড়ানোর মহৎ উদ্দেশ্যে এবং অত্র এলাকার অভিভাবকদের প্রচুর অর্থ অপচয় লাঘবে ২০০৯ সালে ‘কলেজ অব ফাইন্যান্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট’ কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় । কলেজটির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে অত্র এলাকায় একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কলেজ প্রতিষ্ঠা করে এখানকার শিক্ষার্থীদের মানসিক উৎকর্ষ সাধন এবং শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যোগ্য শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তোলা । সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব ইসহাক আলী এবং দুইজন পরিচালক জনাব রেজাউল হক ও জনাব মিজানুর রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে ২০০৯ সালে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে অত্র কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় “কলেজ অব ফাইন্যান্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট” সাভারের মধ্যে একটি আদর্শ বিদ্যাপিঠ হিসেবে আজ সুপ্রতিষ্ঠিত।